উমরাহ-নির্দেশিকা

ইসলামের ফজর উজ্জ্বল হতেই মুসলিমদের প্রতি মহান আল্লাহর নিরবচ্ছিন্ন অনুগ্রহ বর্ষিত হয়েই চলেছে। এই উম্মাহ, মহান আল্লাহ যার প্রশংসা ক’রে বলেছেন, “তোমরাই শ্রেষ্ঠতম জাতি। মানবমন্ডলীর জন্য তোমাদের অভ্যুত্থান হয়েছে।” (সুরা আলে ইমরান ১১০ আয়াত) আর শ্রেষ্ঠত্ব দান করার অর্থ হল, তিনি এই জাতির প্রতি সন্তুষ্ট। আর তাঁর সন্তুষ্টি এই কথার দলীল যে, তিনি জাতিকে নানা অনুগ্রহ ও করুণা দানে ধন্য করে থাকেন।

মহান আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে একটি অনুগ্রহ এই যে, তিনি আমাদের জন্য ‘উমরাহ’ আদায় বিধিবদ্ধ করেছেন। যা যে কোন সময়ে আদায় ক’রে গোনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়। মহান প্রতিপালকের প্রাচীন গৃহের নিকট ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (হে আল্লাহ! আমি হাজির) বলে বান্দা উপস্থিত হয়। তার প্রত্যুত্তরে তিনি তাঁর রসূল-এর মুখে বলেন, “এক উমরাহ অপর উমরাহ পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত পাপরাশির কাফফারাহ।” (বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯ নং)
অবশ্য শর্ত হল, তা তাঁর নিকট গৃহীত হতে হবে। আর প্রত্যেক ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত হল দু’টি,
১। ঈমান ও ইখলাসের সাথে তা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হতে হবে। অর্থাৎ, কোন স্বার্থ ও সুনাম লাভের উদ্দেশ্য হলে হবে না।
২। তা নবী মুহাম্মাদ-এর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী হতে হবে। অন্য কারো অথবা নিজস্ব মনগড়া পদ্ধতিতে হলে হবে না।

প্রথম শর্তটি পালন সহজ হলেও দ্বিতীয় শর্তটি পালন করতে শিক্ষার দরকার আছে। এই মহান ইবাদত পালনের পদ্ধতি তথা তার জন্য সফর ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের নানা আদব নিয়ে লিখিত এই পুস্তিকা প্রত্যেক মুসলিমের কাজে দেবে, যিনি উমরাহ আদায় করতে এবং তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য করতে চান। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন সকলকে নেক প্রতিদান দেন। আমীন।

অনুবাদেঃ আব্দুল হামীদ ফাইযী। আল-মাজমাআহ, রঃ সানী ১৪৩০হিঃ

somdn_product_page

Total Downloads: 1

ইসলামের ফজর উজ্জ্বল হতেই মুসলিমদের প্রতি মহান আল্লাহর নিরবচ্ছিন্ন অনুগ্রহ বর্ষিত হয়েই চলেছে। এই উম্মাহ, মহান আল্লাহ যার প্রশংসা ক’রে বলেছেন, “তোমরাই শ্রেষ্ঠতম জাতি। মানবমন্ডলীর জন্য তোমাদের অভ্যুত্থান হয়েছে।” (সুরা আলে ইমরান ১১০ আয়াত) আর শ্রেষ্ঠত্ব দান করার অর্থ হল, তিনি এই জাতির প্রতি সন্তুষ্ট। আর তাঁর সন্তুষ্টি এই কথার দলীল যে, তিনি জাতিকে নানা অনুগ্রহ ও করুণা দানে ধন্য করে থাকেন।
মহান আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে একটি অনুগ্রহ এই যে, তিনি আমাদের জন্য ‘উমরাহ’ আদায় বিধিবদ্ধ করেছেন। যা যে কোন সময়ে আদায় ক’রে গোনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়। মহান প্রতিপালকের প্রাচীন গৃহের নিকট ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (হে আল্লাহ! আমি হাজির) বলে বান্দা উপস্থিত হয়। তার প্রত্যুত্তরে তিনি তাঁর রসূল-এর মুখে বলেন, “এক উমরাহ অপর উমরাহ পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত পাপরাশির কাফফারাহ।” (বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯ নং)

অবশ্য শর্ত হল, তা তাঁর নিকট গৃহীত হতে হবে। আর প্রত্যেক ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত হল দু’টি,
১। ঈমান ও ইখলাসের সাথে তা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হতে হবে। অর্থাৎ, কোন স্বার্থ ও সুনাম লাভের উদ্দেশ্য হলে হবে না।
২। তা নবী মুহাম্মাদ-এর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী হতে হবে। অন্য কারো অথবা নিজস্ব মনগড়া পদ্ধতিতে হলে হবে না।
প্রথম শর্তটি পালন সহজ হলেও দ্বিতীয় শর্তটি পালন করতে শিক্ষার দরকার আছে। এই মহান ইবাদত পালনের পদ্ধতি তথা তার জন্য সফর ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের নানা আদব নিয়ে লিখিত এই পুস্তিকা প্রত্যেক মুসলিমের কাজে দেবে, যিনি উমরাহ আদায় করতে এবং তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য করতে চান। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন সকলকে নেক প্রতিদান দেন। আমীন।
অনুবাদেঃ আব্দুল হামীদ ফাইযী। আল-মাজমাআহ, রঃ সানী ১৪৩০হিঃ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “উমরাহ-নির্দেশিকা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *