অধিকারীর অধিকার

লেখক তার জীবনে অধিকার, বঞ্চনা ও ন্যায়ের বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছেন যে, মহান আল্লাহ ছাড়া সঠিক অধিকার নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। লেখক আশা করেন, তাঁর লেখার মাধ্যমে কেউ নিজের অধিকার ফিরে পেলে তা সার্থক হবে।

somdn_product_page

Total Downloads: 0

সংসার ও সমাজে বসবাস করার সময় বহু অধিকার পাওয়ার থাকে, বহু অধিকার দেওয়ার থাকে। পরিদৃষ্ট হয়, বহু অধিকার নষ্ট হচ্ছে, বহু অধিকারী অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বহু অধিকারের দাবিদার অযথা অধিকারের দাবি করছে।
সকলেই নিজ নিজ স্বার্থানুসারে কোন কিছুর প্রাপ্তিকে নিজের অধিকার বলে দাবি করে এবং স্বার্থে আঘাত লাগলেই অপরের ন্যায্য অধিকার স্বীকার করতেও কুণ্ঠাবোধ করছে। তাই স্বার্থপরতার উর্ধে থেকে অধিকারীর অধিকার নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া প্রবৃত্তির বশীভূত মানুষ সে অধিকার চিহ্নিত করতে সক্ষম নয়। ইসলামের জীবনবিধান ছাড়া সে সকল অধিকার সুনিশ্চিত করতে অন্য কোন বিধান নির্ভুল ও ন্যায়পরায়ণ নয়। মহান আল্লাহ অপেক্ষা ন্যায়পরায়ণ আর কেউ হতে পারে না। আল্লাহর পরে তাঁর নবী অপেক্ষা সৃষ্টির প্রতি অধিক হিতাকাঙ্ক্ষী ও দয়ার্দ্র অন্য কেউ হতে পারে না।
‘লাঠি যার, মাটি তার’-এর নীতিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়, অধিকার হরণ হয়। কিন্তু তাতে হিংসা ও হানাহানি থাকে। পক্ষান্তরে পূর্ণ ইসলামী পরিবেশ হলে সমাজের দুর্বলতম ব্যক্তিও অনায়াসে তার নিজ অধিকার আদায় পেতে পারে।
জীবনে বহু অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি, হয়তো অনেকের বহু অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়ে উঠিনি। বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার দ্বারপ্রান্তে অনেক মানুষ সোচ্চার হয়, অধিকার হারিয়ে অনেক লেখকের কলম নির্বার রূপ ধারণ করে। হয়তো বা আমিও তাদের একজন।
আমি চাই ন্যায়সঙ্গত অধিকার, আমি চাই ইসলামী সাংবিধানিক অধিকার। মানবের সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত মানবাধিকার।
আমি চাই সেই অধিকার, যে অধিকার আমাকে আমার অধিকর্তা দিয়েছেন। আমি সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে চাই না, যে অধিকারের স্রোতোধারায় কোন সৃষ্টি বঞ্চনার বাঁধ সৃষ্টি করেছে। আমি সে অধিকারহারা হতে চাই না, যে অধিকার আমাকে আমার মহান প্রতিপালক দিয়ে রেখেছেন।
আমি সে অধিকার দাবি করি না, যার আসল অধিকারী আমি নই। সে অধিকারও কেড়ে নিতে চাই না, যা অন্য একজন মানুষের প্রাপ্য।
আমি যথাসাধ্য অপরের প্রাপ্য অধিকার আদায় করি। সাধ্য থাকতে কারো অধিকার লংঘন হতে দিই না। কারো অধিকার নষ্ট হোক, তাও আমি মনেপ্রাণে চাই না। মানবের ঈমান, জান, জ্ঞান, মান ও ধন সংক্রান্ত কোন অধিকারে না বঞ্চিত হতে চাই, না বঞ্চিত করতে চাই।
আমি সেই কামনাই করি, সেই আশাই রাখি মহান আল্লাহর কাছে। বঞ্চনার লাঞ্ছনা বুকে নিয়ে যা কিছু লিখেছি, তার মাধ্যমে যদি কোন অধিকারী নিজ অধিকার ফিরে পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে অথবা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস লাভকরে, তাহলে এ লেখার উদ্দেশ্য সফল হবে।
মহান আল্লাহ সকলকে তওফীক দিন। আমীন।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “অধিকারীর অধিকার”

Your email address will not be published. Required fields are marked *