মুসলিমের জীবনে নামাযের গুরুত্ব

বইটি নামায ও ঈমানের শুদ্ধতার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে, বিশেষ করে নামায প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঈমান ও আক্বীদার শুদ্ধতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। লেখক বলেছেন যে, নামাযের সুফল পেতে হলে আগে সঠিক ঈমান ও আক্বীদা থাকতে হবে। ঈমান শুদ্ধ না হলে নামাযও শুদ্ধ হবে না, কারণ নামাযের উদ্দেশ্য হল আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে আবাদত করা। লেখক কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন, যেন মুসলিমরা তাদের নামাযের উদ্দেশ্য ও শুদ্ধতা বুঝতে পারে।

somdn_product_page

Total Downloads: 0

মুসলিমের জীবনে নামাযের বিশাল গুরুত্ব আছে, তাই ইসলামী আহবায়কদেরকেও দেখা যায়, তাঁরা মুসলিমের জীবন ও সমাজে নামায প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এক পর্যায়ে এ গুরুত্ব দেওয়া যথার্থ ও যথাযোগ্য। কিন্তু তার আগে তার আক্বীদা ও ঈমানের ব্যাপারটা গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য বেশি। কারণ আক্বীদা শুদ্ধ না হলে নামাযই শুদ্ধ হবে না। ঈমান শুদ্ধ না হলে নামায মহান আল্লাহর কাছে গুরুত্ব পাবে না। বলা বাহুল্য, নামাযের চারাগাছ রোপন করার আগে জীবন ও মনের জমি থেকে শিকী আক্বীদা ও বিশ্বাসের আগাছা তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ বুঝতেই পারছেন, ফল পাওয়া তো দূরের কথা, বীজও বরবাদে যাবে।
সুতরাং কাউকে নামাযী বানাবার আগে তার ঈমান ঠিক করুন।
তাকে প্রশ্ন ক’রে দেখুন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ কী?
অতঃপর সে যদি উত্তরে বলে, ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই’ অথবা ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ সৃষ্টিকর্তা ও মালিক নেই’ অথবা ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ হুকুমকর্তা বা বিধানদাতা নেই’, তাহলে তার নামায পড়ে কোন লাভনেই। কারণ যে কালেমা পড়ে ‘মুসলিম’ হওয়া যায়, সেই কালেমার সঠিক অর্থই সে বুঝে না। তাহলে সে ‘মুসলিম’ হয় কীভাবে এবং তার নামায কবুল হয় কী ক’রে?
সুতরাং তাকে কালেমার সঠিক অর্থ শিখিয়ে দিন, ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্যিকার মা’বুদ বা উপাস্য নেই।’
তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আল্লাহ কোথায় আছেন?’
অতঃপর সে যদি উত্তরে বলে, ‘তিনি সব জায়গায় আছেন’ অথবা ‘মু’মিনের হৃদয়ে আছেন’ অথবা ‘তিনি কোথায় তা কেউ বলতে পারবে না’, তাহলে তার নামায পড়া বৃথা। কারণ যে জানে না, তার সেই আল্লাহ কোথায়, যাঁর জন্য সে রুকু-সিজদা করছে, তার নামায কবুল হয় কীভাবে?
সুতরাং তাকে শিখিয়ে দিন, মহান আল্লাহ আছেন সাত আসমানের উগ্রে আরশের উপরে।
তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আল্লাহ সাকার না নিরাকার?’
অতঃপর সে যদি উত্তরে বলে, ‘আল্লাহ নিরাকার, তাঁর কোন আকার নেই’, তাহলে তার নামায উপকারী নয়। কারণ যে তার প্রতিপালক সম্বন্ধে সঠিক ধারণা রাখে না, তার ইবাদত কবুল হয় কীভাবে?
সুতরাং তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তুমি জান্নাতে যেতে চাও কি না?’ যদি বলে, ‘যেতে চাই।’ তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘জান্নাতের সবচেয়ে বড় তৃপ্তিকর সুখ কী?’ যদি বলে, ‘মহান আল্লাহর দীদার বা দর্শন।’ তাহলে এবার তাকে বলুন, ‘যাকে দেখা যাবে, তার আকার আছে কি না?’ অবশ্যই সে বলবে, ‘নিশ্চয়ই।’ তবে সেই সাথে তাকে এ কথাও জানিয়ে দিন যে, তাঁকে দেখার আগে তাঁর আকার বা রূপ কল্পনাতীত।
কেউ জানে না সে কথা। কারণ তাঁর মতো কোন কিছুই নেই।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মুসলিমের জীবনে নামাযের গুরুত্ব”

Your email address will not be published. Required fields are marked *