খুতবাতে মাদানিয়্যাহ

যাঁরা ইসলামী দাওয়াতের কাজ করেন, যাঁদেরকে সমাজের সামনে দু-চারটি ইসলামের কথা বলতে হয়, যাঁদেরকে জুমআর মিম্বরে উঠে খুতবা দিতে হয়, তাঁদেরকে সহযোগিতা ও উৎসাহিত করার জন্য এবারের এই লেখা। এ বইয়ে অবশ্য আমার মনের সম্পূর্ণ কথা প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ তাতে তার কলেবর বৃদ্ধি হতো এবং নতুন খতীবের কাছে তা সুদীর্ঘও মনে হতো। সুতরাং অনেক বিষয়ে কেবল পয়েন্ট নোট করেছি এবং কুরআন-হাদীস উল্লেখ ক’রে ছেড়ে দিয়েছি। অবশ্য প্রয়োজনে খতীব তার ব্যাখ্যা ক’রে সবিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন। আর কিছু বিষয় আছে, যা আমার অন্য কোন বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, যাতে খুতবার এই বইটিও উক্ত বিষয়-সমৃদ্ধ হয়।

জুমআর খুতবা যেমনভাবে দিতে হয়, ঠিক সেইভাবে প্রত্যেকটি খুতবা লিখলে, বই মোটা হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় কেবল মূল বিষয় আলোচিত হয়েছে। অবশ্য তার নিয়ম শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছে। খতীব সাহেব ‘খুতবাহ মাসনূনাহ’ আরবীতে পাঠ করার পর মূল আলোচ্য বিষয় পরিবেশন করতে পারেন। যেমন আলোচ্য বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ ক’রে উভয় খুতবাকেই আলোচনা সমৃদ্ধ করার ব্যাপারটিকেও তাঁর দায়িত্বে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সময় বুঝে এক একটি বিষয় নির্বাচন ক’রে পরিবেশন করবেন। খুতবা চলাকালে সময়ের খেয়াল রাখবেন, উপস্থিত জামাআতের সুবিধা-অসুবিধা লক্ষ্য রাখবেন, দরূদ ও দুআর যথার্থ খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ চাইলে তাঁর দ্বারা জামাআতের প্রভুত কল্যাণ সাধিত হবে।

আমার উপদেশ হল, কুরআনের আয়াত ও হাদীস ভাল মতো মুখস্থ ক’রে পরিবেশন করবেন। আর মুখস্থ করার শক্তি বা সময় না থাকলে ছোট কাগজে নোট ক’রে খুতবা দেবেন। তাতে অনেকে আপনাকে ছোট ভাবতে পারে, তবুও যে মূল বিষয় ছেড়ে অনেক বিষয়ে আবোল-তাবোল বলে যায়, তার চাইতে আপনি অনেক বড়।

আল্লাহ সকলকে সঠিক কথা বলার ও সঠিক পথে চলার তওফীক দিন আমীন।
বিনীত
আব্দুল হামীদ মাদানী
আল-মাজমাআহ
১৭/১/২০১০খ্রিঃ
সউদী আরব

somdn_product_page

Total Downloads: 0

যাঁরা ইসলামী দাওয়াতের কাজ করেন, যাঁদেরকে সমাজের সামনে দু-চারটি ইসলামের কথা বলতে হয়, যাঁদেরকে জুমআর মিম্বরে উঠে খুতবা দিতে হয়, তাঁদেরকে সহযোগিতা ও উৎসাহিত করার জন্য এবারের এই লেখা। এ বইয়ে অবশ্য আমার মনের সম্পূর্ণ কথা প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ তাতে তার কলেবর বৃদ্ধি হতো এবং নতুন খতীবের কাছে তা সুদীর্ঘও মনে হতো। সুতরাং অনেক বিষয়ে কেবল পয়েন্ট নোট করেছি এবং কুরআন-হাদীস উল্লেখ ক’রে ছেড়ে দিয়েছি। অবশ্য প্রয়োজনে খতীব তার ব্যাখ্যা ক’রে সবিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন। আর কিছু বিষয় আছে, যা আমার অন্য কোন বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, যাতে খুতবার এই বইটিও উক্ত বিষয়-সমৃদ্ধ হয়।

জুমআর খুতবা যেমনভাবে দিতে হয়, ঠিক সেইভাবে প্রত্যেকটি খুতবা লিখলে, বই মোটা হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় কেবল মূল বিষয় আলোচিত হয়েছে। অবশ্য তার নিয়ম শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছে। খতীব সাহেব ‘খুতবাহ মাসনূনাহ’ আরবীতে পাঠ করার পর মূল আলোচ্য বিষয় পরিবেশন করতে পারেন। যেমন আলোচ্য বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ ক’রে উভয় খুতবাকেই আলোচনা সমৃদ্ধ করার ব্যাপারটিকেও তাঁর দায়িত্বে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সময় বুঝে এক একটি বিষয় নির্বাচন ক’রে পরিবেশন করবেন। খুতবা চলাকালে সময়ের খেয়াল রাখবেন, উপস্থিত জামাআতের সুবিধা-অসুবিধা লক্ষ্য রাখবেন, দরূদ ও দুআর যথার্থ খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ চাইলে তাঁর দ্বারা জামাআতের প্রভুত কল্যাণ সাধিত হবে।

আমার উপদেশ হল, কুরআনের আয়াত ও হাদীস ভাল মতো মুখস্থ ক’রে পরিবেশন করবেন। আর মুখস্থ করার শক্তি বা সময় না থাকলে ছোট কাগজে নোট ক’রে খুতবা দেবেন। তাতে অনেকে আপনাকে ছোট ভাবতে পারে, তবুও যে মূল বিষয় ছেড়ে অনেক বিষয়ে আবোল-তাবোল বলে যায়, তার চাইতে আপনি অনেক বড়।

আল্লাহ সকলকে সঠিক কথা বলার ও সঠিক পথে চলার তওফীক দিন আমীন।
বিনীত
আব্দুল হামীদ মাদানী
আল-মাজমাআহ
১৭/১/২০১০খ্রিঃ
সউদী আরব

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “খুতবাতে মাদানিয়্যাহ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *