ইসলামে আকীদার পর আহকামের বড় গুরুত্ব রয়েছে। আহকামে রয়েছে করণীয় ফরয ও ওয়াজেব কর্মাবলী এবং তারই সমপর্যায়ে রয়েছে বর্জনীয় হারাম ও নিষিদ্ধ কর্মাবলী। হারাম জিনিস ও নিষিদ্ধ কর্ম হতে দূরে থাকার চাইতে ফরয ও ওয়াজেব পালনের গুরুত্ব কম নয়। তবুও তুলনামূলকভাবে হারাম বর্জনের গুরুত্ব অধিক যেহেতু মহানবী বলেন, “আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া পর্যন্ত (কিছু না বলা পর্যন্ত) তোমরা আমাকে (কিছু প্রশ্ন না করে) ছেড়ে দাও। যেহেতু তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি বেশী বেশী প্রশ্ন করার জন্য এবং তাদের আম্বিয়াদের সাথে মতবিরোধ করার জন্য ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তোমাদেরকে কোন কিছুর আদেশ করলে তা যথাসাধ্য পালন কর। আর কোন কিছু হতে নিষেধ করলে তা বর্জন কর।” (আহমাদ, মুসলিম, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ২৫০৫নং)
বলাই বাহুল্য যে, শিক্ষা, আমল ও দাওয়াতের কাজে পর্যায়ক্রমে যা শুরু করা প্রয়োজন, তা হল আকীদার পর আহকামে হারাম ও নিষিদ্ধ বস্তু ও কর্মাবলী। আকীদা বিশুদ্ধ করার পরপর যেমন হারাম থেকে দূরে থাকতে হবে, তেমনিই ফরয ও ওয়াজেব পালন করতে হবে। অতঃপর ফাযায়েল ও অতিরিক্ত সৌন্দর্যের কর্মাবলীর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। পক্ষান্তরে কেউ যদি বিপরীত দিক থেকে শিক্ষা, আমল ও দাওয়াত শুরু করেন, তাহলে তিনি ভুল করবেন এবং মহানবী -এর পদ্ধতির খিলাফ করবেন।
তাছাড়া কেউ যদি হারাম না চিনে তা খেতে, পরতে ও ব্যবহার করতে থাকেন, তাহলে এ দুনিয়ায় থাকতে তাঁর দুআ কবুল হবে না আল্লাহর কাছে। আর পরকালে নির্ধারিত শাস্তি তো আল্লাহর এখতিয়ারে আছেই।
সমাজে যে সব হারামখোর সচরাচর নজরে পড়ে, তাদের সংখ্যা কম নয়। সুতরাং তাদেরকে সতর্ক করার দায়িত্ব পড়ে আলেম সমাজের উপর। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই পুস্তিকার অবতারণা।
এই পুস্তিকায় বিবৃত অনেক বস্তু হয়তো বা অনেকের নিকট হারাম নয়, বরং মকরূহ অথবা সন্দিগ্ধ। তাহলেও যা বর্জনীয়, তা বর্জন করাই উচিত। আর তাতেই আছে পরিত্রাণের পথ।
আল্লাহ আমাকে আপনাকে ও সকলকে তওফীক দিন, যাতে হারাম থেকে বিরত থাকতে পারি এবং হারামখোরদের দলভুক্ত না থাকি। আল্লাহুম্মা আমীন।
আত্মশুদ্ধি ও আমল
হারাম রুযী ও রোযগার
বইটির মূল বিষয় হলো ইসলামের আহকাম, যেখানে ফরয, ওয়াজেব, হারাম ও নিষিদ্ধ কাজের গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে।
Total Downloads: 0
Reviews
There are no reviews yet.