সুন্নাহর মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
মুসলিমের নিকট সুন্নাহ, হাদীস ও তরীকায়ে মুহাম্মাদীর গুরুত্ব বিশাল। মহান আল্লাহর কিতাবের পর তাঁর প্রেরিত রসূল -এর তরীকা ছাড়া আর কার তরীকা উত্তম হতে পারে মুসলিমের কাছে? অবশ্য এই গুরুত্ব পাওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে, যা নিম্নরূপঃ-
১। সুন্নাহ হল এক প্রকার অহী।
অহী মাতলু হল কুরআন মাজীদ। আর অহী গায়র মাতলু হল সুন্নাহ। মহানবী -এর উপর যে অহী আল্লাহর শব্দে সংরক্ষিত হত এবং যার তেলাঅতে প্রত্যেক অক্ষরের বিনিময়ে ১০টি করে সওয়াব পাওয়া যায়, তাই হল কুরআন। আর কুরআন ছাড়া যে শরয়ী নির্দেশ নিয়ে অহী নাযিল হত এবং যা মহানবী নিজ ভাষায় ব্যক্ত করতেন তাই হল সুন্নাহ। বলা বাহুল্য এ কথা বিদিত যে, তিনি শরীয়তের ব্যাপারে নিজের তরফ থেকে কিছু বলতেন না।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى (٢) (النجم ٣-٤)
অর্থাৎ, সে মনগড়া কথা বলে না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। (সূরা নাজম ৩-৪ আয়াত)
মহানবী-এর উপর যে ধরনের অহী নাযিল হত তা মোটামুটি ৬ প্রকারেরঃ-
(ক) স্বপ্নে তাঁর উপর অহী অবতীর্ণ হতো।
(খ) জিবরীল অদৃশ্য থেকেই তাঁর হৃদয়ে অহী প্রক্ষিপ্ত করে দিতেন।
(গ) জিবরীল মানুষের আকৃতি ধারণ করে তাঁকে সরাসরি সম্বোধন করতেন।
(ঘ) জিবরীলকে তাঁর নিজ সৃষ্টিগত আকৃতিতে দর্শন করে অহীপ্রাপ্ত হতেন।
(ঙ) অহী অবতীর্ণ হওয়ার সময় পাথরে শিকল পড়ার শব্দের মত শব্দ শোনা

হাদিস
হাদীস ও সুন্নাহর মূল্যমান
এই বইয়ে সুন্নাহর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য তুলে ধরা হয়েছে। সুন্নাহ কুরআনের পর ইসলামের দ্বিতীয় উৎস, যা অহীর একটি ধরন (অহী গায়র মাতলু)। মহানবী (সা.) শরীয়তের বিষয়ে নিজ থেকে কিছু বলতেন না, বরং তাঁর সকল নির্দেশ অহীর ভিত্তিতে হত (সূরা নাজম ৩-৪)। সুন্নাহ অনুসরণ করা মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি কুরআনের ব্যাখ্যা ও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ পথপ্রদর্শক।
Total Downloads: 0
Reviews
There are no reviews yet.