অনেক ভাল মানুষ নামাযী আছেন, যাঁরা মসজিদে এসে নামায পড়তে চান না, কেউ বা লজ্জা করেন, অথচ এমন লজ্জাশীলতা মোটেই ভাল নয়। কারো বা কারো প্রতি রাগ থাকে, সুতরাং তিনি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে চান। কারো হয়তো জামাআতের মানুষের প্রতি অহংকার ও ঘৃণা থাকার ফলে জামাআতে আসতে চান না। অনেকে আরো অনেক কারণে ঘরকুনো হয়ে থাকেন—শুধু নামাযের ব্যাপারে।
এ ব্যাপারে আরবীতে একাধিক লিফলেট প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য এখানে তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই শ্রেণীর কল্যাণকামী মানুষ কোথায়, যিনি এই ধরনের কল্যাণ বিনামূল্যে বিতরণ করবেন? বড় বড় ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবী অবশ্যই আছেন, কিন্তু এই শ্রেণীর কল্যাণ সাধনের প্রেরণা কোথায়?
কেবল নিজেকে নামাযী বানানোই যথেষ্ট নয়। অপরকে নামাযী বানানোর চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। হিদায়াত তো আল্লাহর হাতে; কিন্তু আপনার-আমার হাতে চেষ্টা আছে, মহান আল্লাহ তাই দেখবেন। কত লোক মসজিদে আসে না, মসজিদে তাদেরকে নিয়ে সমালোচনাও হয়, আফসোস হয়; কিন্তু ঘরকুনো সেই নামাযীদেরকে মসজিদমুখো করার ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি থাকে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, তাদের অনেকে কারো খাতিরে কয়েকদিন মসজিদে এলেও মসজিদে আসার যে মধু আছে, তা পায় না অথবা না আসার যে শাস্তি আছে তা পূর্ণরূপে বিশ্বাস করে না।
আসুন! আমরা নামাযী বানানোর সাথে সাথে ঘরকুনো নামাযীকে মসজিদমুখো করতে চেষ্টা করি। আল্লাহ ও তাঁর রসূল এ-এর তিরস্কার ও পুরস্কারের কথা জানিয়ে দিয়ে আল্লাহর ঘর আবাদ রাখতে প্রয়াসী হই। আল্লাহ সকলকে তওফীক দিন। আমীন।
বিনীত
আব্দুল হামীদ মাদানী
আল-মাজমাআহ
২৬/১/১০
Reviews
There are no reviews yet.