আমানত বলতে দায়িত্ব, কর্তব্য, দায়িত্বশীলতা, বিশ্বস্ততা, এবং কর্তব্য পালনের প্রতি নিষ্ঠা বোঝানো হয়। শরীয়তের পরিভাষায়, ‘আমানত’ হলো সেই সমস্ত বিষয় যা সুরক্ষিত রাখা জরুরি। এটা চুক্তির ভিত্তিতে হতে পারে, যেমন অর্থ জমা রাখা বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে, অথবা বিনা চুক্তিতেও হতে পারে, যেমন কুড়িয়ে পাওয়া কিছু। অর্থাৎ, আমানত এমন কিছু যা আমাদের বিশ্বস্ততার সাথে রাখার দায়িত্ব।
অন্যদিকে, ‘খিয়ানত’ এর অর্থ হলো বিশ্বাসঘাতকতা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, দুর্নীতি, বা অন্যের সম্পত্তি বা অধিকার নিয়ে অন্যায় ব্যবহার করা। এই পরিভাষা আরো বিস্তৃত, তবে আমি এখানে সাধারণভাবে ‘আমানত ও খিয়ানত’ নিয়ে আলোচনা করব।
বর্তমানে সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমানতের অভাব দেখা যাচ্ছে। দ্বীন-ধর্ম, পরিবার, সমাজ, ব্যবসা, শিক্ষা—প্রতিটি জায়গাতেই খিয়ানতের উপস্থিতি লক্ষণীয়। মানুষের মধ্যে আমানতদারিত্বের অভাবের কারণে জীবনে বরকত এবং সাফল্য কমে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দ্বীনদারীতে আগ্রহ কমে যাচ্ছে, সংসারে শান্তি ও সুখ নেই, এবং ব্যবসা বা পেশায় উন্নতি হচ্ছে না।
এই বিষয়টি আমি পূর্ব-বুরাইদার ইসলামিক গাইডেন্স সেন্টারের একটি সভায় ২০০৮ সালে আলোচনা করেছিলাম, এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য এই পুস্তিকা প্রকাশ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, পরিবার ও সমাজের ভিত্তি মজবুত করার জন্য আমাদের প্রথমে আমানতদার হতে হবে, কারণ এই নীতিই আমাদের সমাজের উন্নতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
আল্লাহ তাআলা যেন আমার এই প্রয়াস কবুল করেন। আমিন।
Reviews
There are no reviews yet.